রামাদান (অথবা রমজান) হল আরবি ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে পবিত্র মাস, যা সারা বিশ্বের সকল মুসলমান পালন করে থাকেন. এই বছর, রমজান মাস 05 মে 2019 থেকে শুরু হবে এবং 04 জুন 2019-এ শেষ হবে. এই পবিত্র মাসে যে জিনিসগুলো পালন করা হয় সেগুলো হল রোজা রাখা, নামাজ পড়া, ধূমপান, মদ্যপান এবং ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা. এই পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা এবং প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে. রমজান মাসে রোজা রাখা সৃষ্টিকর্তার ইবাদাতের ও সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণের সর্বোচ্চ মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা হয়. এছাড়াও, সারা বিশ্বের মুসলমানরা রোজা রাখে, যা তাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করে বলে মনে করা হয়. যদিও শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি এবং গর্ভবতী মহিলাদের রোজা রাখা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, তবে বাকি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ এবং ক্ষমা লাভের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক. এই 30 দিন মুসলমানরা একটানা রোজা রাখেন. সাধারণত রমজান মাসে তারা দিনে 3 বার খাবার খেয়ে থাকেন - সেহেরি (সূর্যোদয়ের আগের খাবার), ইফতার (রোজা ভাঙার জন্য খাবার) এবং রাতের খাবার. কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, এই ধরনের অনুশীলনের উপকারিতাগুলি কী কী? পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখার কিছু উপকারিতা এখানে দেওয়া হল:
- রমজান মাসে রোজা রাখা ভাল ঘুম হওয়া এবং ঘুমের সাথে সম্পর্কিত রোগের জন্য উপকারী
- এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করার একটি সুস্পষ্ট উপায় হিসাবেও বিবেচনা করা হয়
- বলা হয়ে থাকে যে, এই পবিত্র মাসে রোজা রাখলে তা আপনার ফিজিক্যাল ফিটনেস আরও উন্নত করে
- বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, রমজান মাসে রোজা রাখলে তা আপনার হতাশা ও উদ্বেগ হ্রাস করে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে এবং সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে পারে
- খাওয়া-দাওয়া, মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকলে তা আত্মসংযম, উদারতা, সহানুভূতির মতো গুণাবলী তৈরি করে এবং এটি রাগ এবং ঈর্ষার মতো নেতিবাচক আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে
- প্রতিদিনের একটানা রোজা রাখা বিভিন্ন হৃদরোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল সংক্রান্ত সমস্যা এবং স্থূলতা কমাতেও সহায়ক
- হালকা খাবার খাওয়া এবং খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা আপনার শরীরকে পরিষ্কার এবং ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে
আমরা আপনাকে এই পবিত্র মাসে উপবাস করার সময় আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিই. আপনি যদি এই রোজা পালন করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার নিজেকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে হবে, ক্যাফিনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে, স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খেতে হবে এবং নিজেকে ফিট রাখতে জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে. আরও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, আমরা অনুরোধ করব কিনে রাখুন একটি উপযুক্ত
মেডিকেল ইনস্যুরেন্স আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য. আপনাকে রমজানের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
একটি উত্তর দিন