ক্যান্সার, এই রোগের নামই মেরুদন্ডে শিহরণ বইয়ে দেয়. এটি আপনার ঘনিষ্ঠ কোনও আত্মীয় বা কোনও বন্ধুর মধ্যে যার-ই হোক না কেন, এই রোগ কারও ধরা পড়েছে তা জানতে পারলেও মনটা খারাপ হয়ে যায়. কিন্তু ভারতের এই পরিসংখ্যান অত্যন্ত ভীতিকর. এটি বলা হয় যে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকাল রিসার্চের (আইসিএমআর) একটি রিপোর্টের বর্ণনা অনুযায়ী এই কেসের সংখ্যা 2025 সালের মধ্যে 15 লক্ষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে
[1]. এটি 2020 বছরের জন্য আনুমানিক সংখ্যা থেকে 12% বেশি
[2]. মানুষের মধ্যে ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার এই বিপদজনক হারের ফলে আপনার ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভার থাকা প্রয়োজন.
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসি কী?
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স হল একটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা
ক্রিটিকাল ইলনেস ইনস্যুরেন্স যা এই রোগ ধরা পড়ার ক্ষেত্রে একটি লামসাম পে-আউট দিয়ে থাকে. ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স প্ল্যানগুলি চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন খরচ যেমন হাসপাতালে ভর্তি, রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি, সার্জারি এবং আরও অনেক বিভিন্ন ধরনের খরচের জন্য কভারেজ প্রদান করে. ক্যান্সার পলিসি থাকলে আপনি কেবল আর্থিকই নয় বরং মানসিক নিরাপত্তাও পেতে পারেন কারণ এই পলিসি প্রাথমিক এবং অ্যাডভান্সড উভয় পর্যায়ের অসুস্থতাই কভার করে. কিছু কিছু ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স প্ল্যানের ক্ষেত্রে রোগ কতটা গুরুতর তার উপর ভিত্তি করে লামসাম পে-আউট করা হয়. এটি আপনার হেলথ ইনস্যুরেন্স কভারের শর্তাবলীর উপর নির্ভর করবে.
ভারতের ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসিগুলি কোন ধরনের ক্যান্সার কভার করে?
ভারতে, ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভারেজ সাধারণত প্রধান ধরনের ক্যান্সার কভার করে যেমন:
- ব্রেস্ট ক্যান্সার
- ফুসফুসের ক্যান্সার
- প্রোস্টেট ক্যান্সার
- ওভারিয়ান ক্যান্সার
- কোলন ক্যান্সার
কিছু কিছু প্ল্যান অন্যান্য ধরনের ক্যান্সার যেমন ব্ল্যাডার ক্যান্সার এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারও কভার করতে পারে.
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসি কী কী সুবিধা অফার করে?
ক্যান্সার কভার সহ হেলথ ইনস্যুরেন্স এমন বিভিন্ন সুবিধা অফার করে যা ব্যক্তিদের ক্যান্সার ধরা পড়ার কারণে উদ্ভুত আর্থিক চাপ ম্যানেজ করতে সাহায্য করতে পারে. ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভারেজের কিছু সুবিধার মধ্যে রয়েছে:
- কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি এবং সার্জারি সহ ক্যান্সার চিকিৎসার খরচের জন্য কভারেজ *
- হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খরচ এবং মেডিকেল টেস্টের জন্য কভারেজ *
- চিকিৎসা এবং রিকভারির সময় আয়ের যে ক্ষতি হট তা কভার করতে সাহায্য করার জন্য ইনকাম রিপ্লেসমেন্ট বা অক্ষমতার জন্য কভারেজ *
- মানসিক সাপোর্টের জন্য কাউন্সেলিং সার্ভিস বা সাপোর্ট গ্রুপে অ্যাক্সেস *
- প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্তকরণের জন্য লাম-সাম পেমেন্ট *
- আরও ব্যাপক কভারেজের জন্য একটি উচ্চ সাম অ্যাসিওর্ড বেছে নেওয়ার বিকল্প *
- পলিসির মেয়াদ এবং প্রিমিয়াম পেমেন্টের ফ্রিকুয়েন্সি বেছে নেওয়ার ফ্লেক্সিবিলিটি
ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত খরচ এবং সহায়তামূলক পরিষেবার জন্য কম্প্রিহেন্সিভ কভারেজ প্রদান করার মাধ্যমে,
ক্যান্সার কভার সহ হেলথ ইনস্যুরেন্স যা কোনও ব্যক্তির ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ার ক্ষেত্রে দেখা দেওয়া আর্থিক এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে.
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভার কেন এত প্রয়োজন?
কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ তার কিছু কারণ এখানে দেওয়া হল
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসি:
-
ক্যান্সার চিকিৎসার অত্যধিক খরচ:
ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যয়বহুল হতে পারে এবং একটি ডিফল্ট ইনস্যুরেন্স কভারেজ এই রোগের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত খরচ কভার করার জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে. ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভার হাসপাতালে থাকার খরচ, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি এবং সার্জারি সহ চিকিৎসা খরচের জন্য কভারেজ প্রদান করে এই ব্যবধান পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে. *
-
আর্থিক সুরক্ষা:
একজন ব্যক্তির ক্যান্সার রোগ ধরা পড়লে তা সেই ব্যক্তি এবং তার পরিবারের বড় ধরনের আর্থিক চাপের কারণ হতে পারে. ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ এবং আয়ের ক্ষতি ও পরিবহণ খরচের মতো অন্যান্য খরচ কভার করে ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভারেজ আপনাকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করতে পারে.
-
প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ:
প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার ফলাফল উল্লেখযোগ্যভাবে আরও ভাল হতে পারে. কিছু কিছু ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স ক্যান্সার স্ক্রিনিং টেস্টের জন্য কভারেজ অফার করে যা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে.
-
মনের শান্তি:
আপনি যদি জানেন যে আপনার ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভারেজ রয়েছে তা এটি আপনাকে মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে এবং ক্যান্সার ধরা পড়ার পরে যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় তা কমাতে পারে. ক্যান্সার রোগ নির্ণয় হওয়ার পর প্রায়শই যে আর্থিক দুশ্চিন্তা দেখা দেয় তা দূর করতেও এটি সাহায্য করতে পারে.
-
বিদ্যমান ইনস্যুরেন্সের পরিপূরক:
ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স আপনার বিদ্যমান হেলথ ইনস্যুরেন্স কভারেজের পরিপূরক হিসাবেও কাজ করতে পারে. এটি আপনার নিয়মিত খরচের জন্যও কভারেজ প্রদান করতে পারে যা আপনার রেগুলার - -এর অধীনে কভার নাও করা হতে পারে হেলথ ইনস্যুরেন্স প্ল্যানের জন্য
সংক্ষেপে বলা যায় যে, একটি
ক্যান্সার কভার পলিসি আর্থিক সুরক্ষা এবং মানসিক শান্তি দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যমান হেলথ ইনস্যুরেন্স কভারেজের পরিপূরক হিসাবেও কাজ করে.
ক্যান্সারের রোগীদের জন্য আপনি কীভাবে সেরা হেলথ ইনস্যুরেন্স পেতে পারেন তা এখানে দেওয়া হল
-
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা:
বিশেষজ্ঞদের মতে, যত তাড়াতাড়ি রোগ শনাক্ত করা যাবে, রোগের চিকিৎসা করার সম্ভাবনাও তত বেশি হবে. সুতরাং, নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে তা প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করবে. এছাড়াও, ডাক্তাররা 40 বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য ম্যামোগ্রাফি, পিএপি স্মিয়ার এবং আল্ট্রাসাউন্ডের মতো লিঙ্গ ভিত্তিক নির্দিষ্ট টেস্ট করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন. 55 বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের জন্য, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের জন্য আল্ট্রাসাউন্ড টেস্ট সহায়ক হতে পারে. যেহেতু শনাক্তকরণের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অপরিহার্য, তাই ভারতে ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কিনতে পরামর্শ দেওয়া হয় যা এই চেক-আপগুলি করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে.
-
সঠিক ইনস্যুরেন্স পলিসি নির্বাচন করা:
যখন ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স প্ল্যানের বিভিন্ন ধরনের বিকল্পের মধ্যে থেকে যে কোনও একটি প্ল্যান বেছে নেওয়ার কথা আসে, তখন এমন একটি পলিসি কিনতে হবে যে যেটির - পর্যাপ্ত সাম ইনসিওর্ড. যেহেতু চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি, তাই এমন একটি সাম ইনসিওর্ড বেছে নিতে হবে যেটি অধিক চিকিৎসার খরচ কভার করতে পারবে. সাধারণত, অন্যান্য বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে, আপনি যে শহরে বাস করে সেই শহরের গড় চিকিৎসা খরচের কমপক্ষে 1.25 গুণ বেশি সহ একটি ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স নেওয়া প্রয়োজন. এইভাবে, আপনি দিন দিন বেড়ে যাওয়া চিকিৎসা খরচের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্যও প্ল্যান করতে পারেন. ফ্যামিলি ফ্লোটার পলিসির ক্ষেত্রে, ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভারেজের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেছে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন কারণ এটি একসাথে অনেক বেনিফিশিয়ারি শেয়ার করে থাকেন.
-
কো-পেমেন্টের নিয়ম দেখে নিন:
কো-পেমেন্টের নিয়ম বলতে সেই নিয়মকে বোঝায় যেখানে আপনাকে অর্থাৎ পলিসিহোল্ডারকে চিকিৎসার কিছু অংশের জন্য পে করতে হয় এবং বাকি অংশ আপনার ইনস্যুরেন্স পলিসির অধীনে কভার করা হয়. কো-পেমেন্টের নিয়ম ব্যবহার করলে তা প্রিমিয়ামের পরিমাণ কম করতে সাহায্য করতে পারে কিন্তু বিশেষভাবে ক্যান্সার ইনস্যুরেন্সের জন্য কোনও পলিসি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি যুক্তিসঙ্গত নাও হতে পারে কারণ এর জন্য আপনাকে ব্যয়ের একটি বিশাল অংশ পে করতে হতে পারে.
-
ওয়েটিং পিরিয়ডের মধ্যে তুলনা করুন:
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভারেজ নেওয়ার সময় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পলিসির ওয়েটিং পিরিয়ড বিবেচনা করা. ভিন্ন ভিন্ন হেলথ ইনস্যুরেন্স প্ল্যান এর ক্ষেত্রে ওয়েটিং পিরিয়ড ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে এবং কেনার সময়ই এটি বিবেচনা করতে হবে. একটি দীর্ঘ ওয়েটিং পিরিয়ডের অর্থ হল এই রোগগুলির জন্য আপনার ইনস্যুরেন্স কভারেজের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে আরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে. এগুলি ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসির কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান. ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিভিন্ন অফারের পরিপূর্ণ বিশ্লেষণ ভারতে একটি সঠিক ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স বেছে নিতে সাহায্য করবে. এছাড়াও, যদি আপনার পরিবারে কারও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে তাহলেও এই ধরনের ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কেনা জরুরি. এইভাবে, যদি আপনি কখনও এই রকম কোনও রোগে আক্রান্ত হন তাহলেও আপনার কাছে একটি ফিন্যান্সিয়াল ব্যাকআপ থাকবে. পরিশেষে, এই ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসিটি আপনার স্ট্যান্ডার্ড হেলথ ইনস্যুরেন্স পলিসিকে রিপ্লেস করে না, বরং নির্দিষ্ট অসুস্থতার জন্য একটি পরিপূরক প্ল্যান হিসাবে কাজ করে. ইনস্যুরেন্স হল একটি আগ্রহের বিষয়. লাভ, বাদের তালিকা, সীমাবদ্ধতা, নিয়ম এবং শর্তাবলী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে সেলস সম্পন্ন করার আগে বিক্রয় সম্পর্কিত ব্রোশিওর/পলিসির শব্দাবলী সাবধানে পড়ুন.
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভারের আওতা বহির্ভূত বিষয়গুলি কী কী?
যখন
হেলথ ইনস্যুরেন্স এর সাথে যদি ক্যান্সার কভারেজ থাকে তাহলে তা একজন ব্যক্তির ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের কভারেজ প্রদান করতে পারে, এখানে একটি বিষয় মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, এই প্ল্যানের অধীনে কিছু আওতা বহির্ভুত বিষয় থাকতে পারে. ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভার নেওয়ার কথা বিবেচনা করার সময় যে সাধারণ কিছু আওতা বহির্ভূত বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে সেগুলি এখানে দেওয়া হল:
-
আগে থেকে বিদ্যমান শারীরিক অবস্থা:
অনেক ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স প্ল্যানের ক্ষেত্রে আগে থেকে বিদ্যমান রোগ কভারেজের আওতাভুক্ত নাও হতে পারে. এর অর্থ হল, যদি অতীতে আপনার ক্যান্সার রোগ ধরা পরে থাকে বা আপনি ক্যান্সার রোগের জন্য চিকিৎসা নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কভারেজের জন্য যোগ্য নাও হতে পারেন.
-
নন-ক্যান্সার সম্পর্কিত চিকিৎসা:
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভারেজ সাধারণত কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি এবং সার্জারির মতো ক্যান্সার সম্পর্কিত চিকিৎসাগুলি কভার করতে পারে. অন্যান্য চিকিৎসা খরচ যেমন ডেন্টাল বা চোখের চিকিৎসা খরচ কভার নাও করা হতে পারে.
-
পরীক্ষামূলক চিকিৎসা:
কিছু কিছু ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স প্ল্যান পরীক্ষামূলক চিকিৎসা বা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য কভারেজ নাও দিতে পারে.
-
লেট-স্টেজ ক্যান্সার:
প্ল্যানের উপর ভিত্তি করে, লেট-স্টেজে ক্যান্সার ধরা পড়া ব্যক্তিদের জন্য কভারেজ সীমিত হতে পারে. এর অর্থ হল যে যদি আপনার অ্যাডভান্সড-স্টেজ ক্যান্সার থাকে, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ কভারেজের জন্য যোগ্য নাও হতে পারেন.
-
অন্যান্য আওতা বহির্ভূত বিষয়:
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স প্ল্যান স্কিন ক্যান্সারের মতো কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের জন্য কভারেজ নাও দিতে পারে.
কোনটি কভার করা হবে এবং কোনটি হবে না সে সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানার জন্য যে কোনও ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কভার কেনার আগে সেটির নিয়ম ও শর্তাবলী মনোযোগ সহকারে রিভিউ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ. যখন
হেলথ ইনস্যুরেন্স এর সাথে ক্যান্সার কভার থাকলে একটি বড় ধরনের কভারেজ প্রদান করা গেলেও, বিস্ময়কর বা অপ্রত্যাশিত খরচ এড়াতে যে কোনও আওতা বহির্ভূত বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ.
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্সের জন্য ক্লেম প্রক্রিয়া এবং পেমেন্ট কীভাবে কাজ করে?
এর ক্লেম প্রক্রিয়া এবং পেমেন্ট কীভাবে কাজ করে তার ধাপে ধাপে পদ্ধতি এখানে দেওয়া হল
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসি:
-
একটি ক্লেম জমা দেওয়া:
ক্লেম প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আপনাকে আপনার ইনস্যুরেন্স প্রোভাইডারের কাছে একটি ক্লেম ফর্ম জমা দিতে হবে. ক্লেম ফর্মে সাধারণত আপনার নির্ণয় করা রোগ, চিকিৎসার প্ল্যান এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর বিবরণের মতো তথ্য দিতে হবে. কিছু কিছু প্ল্যানের ক্ষেত্রে, একজন ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্যান্সার পরীক্ষা করা হতে পারে, যাকে সার্ভাইভাল পিরিয়ড হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, * এই সময়ের আগে তারা একটি ক্লেম করতে পারবে.
-
ক্লেম রিভিউ:
ক্লেম জমা দেওয়া হয়ে গেলে, ক্লেমটি প্ল্যানের অধীনে কভারেজের আবশ্যিক শর্তাবলী পূরণ করছে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য ইনস্যুরেন্স প্রোভাইডার ক্লেমটি রিভিউ করবেন.
-
ক্লেম অ্যাপ্রুভাল:
যদি ক্লেমটি অনুমোদিত হয়, তাহলে ইনস্যুরেন্স প্রোভাইডার প্ল্যান কেনার সময় নির্ধারিত পেআউটটি পে করবেন.
-
সময়মত ক্লেম জমা দেওয়া:
কভারেজের ক্ষেত্রে যে কোনও বিলম্ব বা কভারেজের অস্বীকৃতি এড়ানোর জন্য সময়মত ক্লেম জমা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ. অবশ্যই আপনার ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং ক্লেম সম্পর্কিত সমস্ত ডকুমেন্টের কপি আপনার কাছে রেখে দিন.
একটি রেগুলার
হেলথ ইনস্যুরেন্স কভারেজের থেকে একটি ক্রিটিকাল ইলনেস ইনস্যুরেন্সের ক্লেম প্রক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন হতে পারে. পলিসির প্রোপোজাল ফর্মে স্বাক্ষর করার আগে অবশ্যই ক্লেম প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন.
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী:
-
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কি কেমোথেরাপি কভার করে?
হ্যাঁ,
হ্যাঁ, একটি ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসি সাধারণত কেমোথেরাপি কভার করে কারণ এটি ক্যান্সারের জন্য একটি সাধারণ চিকিৎসা. *
-
ক্যান্সারের চিকিৎসা করার পর কি আমি ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কিনতে পারব?
সাধারণত, না. ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের আগে ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ কভার করার জন্য ডিজাইন করা হয়, তাই এটি সাধারণত সেই ব্যক্তিদের জন্য উপলব্ধ নয় যারা ইতিমধ্যে চিকিৎসা নিয়েছেন.
-
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কি রেডিয়েশন থেরাপি কভার করে?
হ্যাঁ, ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স সাধারণত রেডিয়েশন থেরাপি কভার করে কারণ এটি ক্যান্সারের জন্য আরও একটি সাধারণ চিকিৎসা. *
-
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসি কেনার আগে থেকে যদি আমার ক্যান্সার হয়ে থাকে, তাহলে কি এটি আমার চিকিৎসা খরচ কভার করবে?
না, আগে থেকে বিদ্যমান রোগ সাধারণত ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স পলিসির অধীনে কভার করা হয় না.
-
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কারা কিনতে পারবেন?
যে কেউ
ভারতে ক্যান্সার রোগীদের জন্য হেলথ ইনস্যুরেন্স, কিনতে পারবেন, যদিও এটি প্রায়শই সেই সকল ব্যক্তিদের কাছে প্রচার করা হয় যাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি, যেমন ধূমপানকারী বা যাদের পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে.
-
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কেনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সের সীমা কত?
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্স কেনার বয়সের সীমা ভিন্ন ইনস্যুরেন্স প্রোভাইডারের ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়, কিন্তু এটি সাধারণত 75 বা 80 বছর বয়স পর্যন্ত লোকেরা নিতে পারবেন.
-
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্সের খরচ কত?
ক্যান্সার ইনস্যুরেন্সের খরচ বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং কভারেজের পরিমাণের মতো ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন হয়. সাধারণত, তরুণ, স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের জন্য প্রিমিয়ামের পরিমাণ কম হয় এবং বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বা আগে থেকে বিদ্যমান রোগ থাকলে প্রিমিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়. * * স্ট্যান্ডার্ড নিয়ম এবং শর্তাবলী প্রযোজ্য ইনস্যুরেন্স একজন ব্যক্তির আগ্রহের উপর নির্ভর করে. সুবিধা, বহিষ্কার, সীমাবদ্ধতা, নিয়ম এবং শর্তাবলী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত বিবরণের জন্য, অনুগ্রহ করে বিক্রয় সম্পন্ন করার আগে বিক্রয় ব্রোশিওর/পলিসির শর্তাবলী সাবধানে পড়ুন.
একটি উত্তর দিন