1950 সাল থেকে, প্রতি বছর 26শে জানুয়ারি ভারতে গণতন্ত্র দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়. 1950 সালে এই দিনে ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হয়েছিল. এখানে একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল যে, ব্রিটিশ শাসনের শিকল থেকে ভারত 15ই আগস্ট, 1947 স্বাধীনতা পেয়েছিল, এই তারিখ ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়. তবে, 26শে নভেম্বর, 1949 তারিখে ভারতীয় সংবিধান প্রথম গৃহীত হয়েছিল. কিন্তু 1950 সালের 26শে জানুয়ারির আগে এই বিশাল দেশের মধ্যে একতা তৈরি করা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হয়নি, অর্থাৎ এই সময়েই ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হয়েছিল.
ভারতে গণতন্ত্র দিবসের গুরুত্ব
ভারতীয় সংবিধান একটি বিশাল নথি যা ভারত সরকার ও ভারতীয় নাগরিকদের জন্য পদ্ধতি, ক্ষমতা, কর্তব্য, মৌলিক অধিকার এবং নির্দেশকমূলক নীতি নির্ধারণ করে. ভারতীয় সংবিধানের মূল আদর্শ হল “
জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের", যার অর্থ হল যে মূল ক্ষমতা ভারতের নাগরিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে. ভারতীয় নাগরিকদের হাতে নিজস্ব সরকার নির্বাচন করার যে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের মাধ্যমে তার উদযাপন করা হয়. ভারতীয় সংবিধান প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়ার স্মরণে এই জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে.
ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
- প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ হল এই দিনের প্রধান আকর্ষণ. দিল্লীর জনগণ রাজপথের কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকেন. ঠান্ডা আবহাওয়ার পরোয়া না করে, দিল্লীর প্রচুর মানুষ একত্রিত হন এবং এই সুন্দর অনুষ্ঠান দেখেন.
- ভারতের রাষ্ট্রপতি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং ভারতের বীর নাগরিকদের সম্মানিত করে সাহসিকতার জন্য এই পুরস্কারগুলি প্রদান করেন - পরমবীর চক্র, বীর চক্র, অশোক চক্র, কীর্তি চক্র এবং শিশুদের জাতীয় সাহসিকতা পুরস্কার.
- যুদ্ধে যে বীর জওয়ানরা প্রাণ হারিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান. তিনি দিল্লীর ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতিতে পুষ্পস্তবক নিবেদন করে শহীদ জওয়ানদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করেন.
- প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে নেতৃত্ব প্রদান করে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি বিভাগ - নেভি, এয়ার ফোর্স এবং ভারতীয় সেনা. এছাড়াও, একাধিক সাংস্কৃতিক ট্যাবলো, র্যালিমার্চিং সোলজার, মিলিটারি ব্যান্ড, এয়ারক্রাফ্ট শো এবং দক্ষতা প্রদর্শন ও সামরিক যানবাহনে সাহসিকতার প্রদর্শন করা হয়.
- ভারতের স্কুলগুলি এই দিন ছুটি থাকে, কিন্তু শিক্ষার্থীরা জাতীয় পতাকা, নৃত্য, স্কিট প্রদর্শন করার পাশাপাশি মিষ্টি খেয়ে এই জাতীয় দিবস উদযাপন করে.
গণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ হল বিশ্বের সবচেয়ে চমৎকার কুচকাওয়াজগুলির মধ্যে অন্যতম. দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এই সময়ে বিশেষ করে ভারত ভ্রমণ করে. তাহলে আপনি কি এই গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন দেখার জন্য আপনার টিকিট বুক করেছেন?? সাথে অবশ্যই রাখবেন পর্যাপ্ত
ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স প্ল্যান when you book your flight tickets so that you are financially secure when taking this memorable
trip with your family and friends.
Happy republic day
Happy republic day
Enjoy life time
Verry nice company
Amazing!!
Thanks enjoy
A good article indeed!